৫০০ মশা জমা দিলে ১০০ টাকা!

Mga komento · 2172 Mga view

‘৫০০ মশা জমা দিলে ১০০ টাকা দেয়া হবে’ ১৯৯৩ সালে রংপুরে মশার প্রকোপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় এমন অভিনব পন্থা

‘৫০০ মশা জমা দিলে ১০০ টাকা দেয়া হবে’ ১৯৯৩ সালে রংপুরে মশার প্রকোপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় এমন অভিনব পন্থা নিয়েছিলেন |

তার এই ঘোষণা সারাদেশে আলোড়ন তুলেছিল এবং কাজেও দিয়েছিল। মাত্র ১৫ দিনে মশার প্রকোপ অনেক কমে যায়।

সেই সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু পরবর্তীকালে রংপুরের সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র ছিলেন। সম্প্রতি মশা নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

এ অবস্থায় সেই ঝন্টু মডেলকেই পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিলেন তার ছেলে রিয়াজ হিমন। বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন-

‘৯৩ সালে রংপুরে একবার মশার প্রকোপ অনেক বেড়ে গেল। তখন আব্বা মাত্র সিটি (তখন পৌরসভা) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আব্বা তখন উদ্ভট এক ঘোষণা দিলেন ‘৫০০ মশা ১০০ টাকা!’ হ্যাঁ আপনাদের মতোই সবাই অবাক হয়েছিল।

বাট ইট ওয়াজ হিউজ ইফেক্টিভ। পাড়ায়-মহল্লায় মশা মারার ধুম পড়ে যায়। সবাই গামলায়, বালতিতে যে যেটাতে পারে তেল মেখে ড্রেন, খাল, ডোবা যেখানে মশা বেশি সেখানে একটান দিত একবারে হাজার হাজার মশা গামলায় ধরা পড়ত। ১৫ দিনে সত্যি সত্যি মশার প্রকোপ উধাও হয়ে গিয়েছিল!
রিয়াজ হিমনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
রিয়াজ হিমনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
বিবিসি থেকে আমাদের বাসায় প্রতিনিধি আসলো আব্বার ইন্টারভিউ নিতে যে, এই উদ্ভট ঘোষণার কারণ কী?

আব্বা বলেছিলেন, দেখুন জেলখানা থেকে নির্বাচন করার পরও মানুষ আমাকে সবগুলো সেন্টারে প্রথম করেছে। আমার কাছে তাদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। এই সরকার আমাকে এক টাকাও দেয় না।

ট্যাক্স আর ট্রেডের টাকা দিয়ে আমি বেতন দেই। আমার কাছে যে টাকা আর ম্যানপাওয়ার আছে তা দিয়ে ১৫টি ওয়ার্ড কেন ১টি ওয়ার্ডের মশাও মারা সম্ভব না। আর যাকে দিয়ে ওষুধ কেনাব সেই বেশিরভাগ মেরে দেয়! তাই সবাইকে যতক্ষণ না আমি উদ্বুদ্ধ করতে পারব মশা মারা সম্ভব না। 

আমি হিসাব করে দেখেছি, রংপুর পৌরসভায় ১০০টির মতো ক্লাব আছে ওদের ব্যাট বল প্রয়োজন আর যারা মশা মেরে মেরে আনছে তার বেশিরভাগই ছোট ছোট ক্লাবের ছেলেরা আমি ওদের টাকার পরিবর্তে ব্যাট বল দিচ্ছি ওরা তাতেই খুশি। আর রংপুর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তো আমাদের সবার।’

Mga komento