★ দৈনিক পত্রিকা থেকে প্রত্যাক্ষিত একটি গল্প

নীল চোখের ফাঁদে মফিজ মিয়াদের রেমিডেন্স
শহিদুল আলীম

দূর হয়ে যা, দূর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। তুই অবিশ্বাসী মহিলা। তোর সব কিছু শেষ হয়েগেছে। যাহ্ যাহ্ দূর হয়ে যা। এখন আর কান্নাকাটি করে কোন লাভ হবে না। ধ্বংস তোর পিছু নিয়েছে।
বাবাজান, আমার ভুল হয়েগেছে, আমাকে মাফ করে দিন। আমার প্রতি দয়া করুন। দয়াকরে আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। বাবাজান আপনার অসাধ্য কিছু নাই। আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনুন।
তখন বলেছিলাম না, এখন কেনো কান্নাজুড়ে দিছোস? তোরা মহিলাদের এই এক স্বভাব মারানি খাওয়ার পর আসোস কান্নাকাটি করতে।
যাহ্ যাহ্ এখন কিছুই করারর নেই আর।
টিনসেট বেঁড়ারঘরের পাকা ফ্লোরে রাজকীয় বিছানা।বেড-তোষকের উপর মখমলের গদিতে হেলান দিয়ে আধ-শুয়া হয়ে সুন্দরি মহিলা ভক্তবৃন্দে বেষ্টিত বাবাজান। নামি-দামি ব্যন্ডের আতরের সুগন্ধে ঘরময় মৌ-মৌ করছে। ত্রিরিশ-পঁয়ত্রিশ বছর বয়সি পাঁচ-ছয়জন বিবাহিত সুন্দরী যুবতি মহিলার দল বাবাজানের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ টিপে দিয়ে বাবাজানের খাস ফয়েজ হাচিল করে যাচ্ছে। বাকী গোটাবিশেক বিভিন্ন বয়সি মহিলা এক পাশে মাদুরের উপর চুপচাপ দুঃখ ভরাকান্ত অশান্ত দিলের আর্জি পেশের সুযোগের অপেক্ষায় আছে। পাশের রুমে দূর-দূরান্তর থেকে বাবার বরকতপূর্ণ ফয়েজ হাচিলে আসা বিভিন্ন বয়সি বিশ-পঁচিশ জন পুরুষ মাদুরপাতা ফ্লোরে বসে মৃদু স্বরে জিকির করছে। ভবিষ্যৎবানী অগ্রাহ্য করা মহিলাটি বাবাজানের পা'য়ের উপর লুঠিয়ে পড়ে অনবরত হাওমাও করে কান্নাকাটি করেই যাচ্ছে। খাস খাদেম টাইপের সবচেয়ে একজন মহিলা, বিগত ছয়মাস যাবদ প্রবাসী স্বামীর খবর না পাওয়া মহিলাটির পক্ষে বাবাজনকে সুপারিশ করে-
বাবাজান আপনি দয়ার সাগর, বেচারির ভুল হয়ে গেছে। এমন ভুল আর করবে না, তার স্বামিকে তার কাছে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে দিন।
মহিলার কান্নার গতিবেগ আরো বেড়ে গেলো। বাজান গো বাজান স্বামী ছাড়া- টাকা-পয়সা, সোনা-দানা আমার কিছু চাই না। আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আমার অর্থ-সম্পদ যা কিছু আছে আপনার কদমে হাদিয়া দিয়ে দিবো। সবকিছুই দিয়ে দেবো। আমার গয়নাগাটি টাকাপয়সা প্রয়োজন নাই। শুধু একবার আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন। বাবাজানের খাস কামরায় এই হৃদয় বিদারক দৃশ্যপটে পিনপতন নিরবতা নেমে আসে। বাবাজানের হুঙ্কারে উপস্থিত সকলের নিরবতা ভাঙে পূনরায়-
উঠ বলছি উঠ, বেক্কেল মহিলা উঠ।
ঘঠনার আকস্মিকতায় ভয়ে অথবা আদাবের খাতিরে মাথা নিছু করে থাকা ভক্তবৃন্দের দিকে এক নজর চোখ বুলিয়ে নেয় বাবাজান।
এ-বার একটু নরম মোলায়েম স্বরে-
উঠ, দেখি কী করা যায়।
ভরসা পেয়ে মহিলা বাবাজানের পা থেকে মাথা তুলে ভ্যানিটিব্যাগে হাত দেয়। ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে পাঁচশত টাকার একটা কচকচে নোটের বান্ডিল বাবাজানের হাতে গুজে দেয় মফিজ মিয়ার বৌ।
এ্যাঁই এ্যাঁই বেটি- একে ভান্ডার খানায় নিয়ে যা।
যা, যা কান্নাকাটি বন্ধ কর এখন, মাওলা ইশারায় সব ঠিক হয়ে যাব। যা ওর সাথে যা, খাওয়া-দাওয়া করে নে। আর শোন আগামি এক সপ্তাহ দরবারের খেদমত করতে হবে। পারবি তো?
জ্বী, বাবাজান যা হুকুম করনে, পালনে কোন ত্রুটি হবে না।
ও হ্যাঁ, দরবারে এক বরণ্য জোড়া প্রানি হাদিয়া দিতে হবে। বুঝে দেখ, পারবি তো?
জ্বি বাবাজান পারবো। ইনশাল্লাহ্

মফিজ মিয়া তার এক নিকট আত্মীয় সেনাবাহিনীর জি ও সি'র মাধ্যমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ক্যান্টিনে চাল-ডাল সাপ্লাইয়ের টেন্ডার পেয়ে যায়। চার-পাঁচজন স্টাফ ও ম্যানেজার জাকের মিয়ার মাধ্যমে ভালোই চালাচ্ছিলো সাপ্লাই ব্যবসা।
একদিন জাকের মিয়া ক্যান্টিনে চাল-ডাল বুঝিয়ে দেওয়া পর, কৌশলে এক বস্তা চাল সরিয়ে রাখে। চালের বস্তাটি ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করতে গিয়ে চেকপোস্টে সেনাবাহিনী হাতেনাতে ধরে ফেলে জাকির মিয়াকে। ম্যানেজারের চুরির দায়ে মফিজ মিয়ার সাপ্লাই বাতিল হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত, ক্ষিপ্ত মফিজ মিয়া জাকের মিয়াকে আচ্ছামতো উত্তম-মাধ্যম দিয়ে বাড়ীর উঠোনে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে।দুই দিন গত হওয়ার পরেও জাকের মিয়ার আত্মীয়-স্বজন কেউ ছাড়িয়ে নিতে না আসায়। মফিজ মিয়ার মা'য়ের আদেশে সাদাকাগজে মুচলেখা নিয়ে জাকির মিয়াকে ছেড়ে দেয়। সে-বছরই মফিজ মিয়া বিদেশ পাড়ি দেয়। তিন বছর পর দেশে এসে বিয়ে করে ছয় মাস পর আবার চলে যায়। চোট্টবেলায় পিতৃহারা মফিজ মিয়ার বাড়ীতে বুড়ো মা ছাড়া আর কেউ নেই। বছর ফিরতেই পুত্র-সন্তানের গর্বিত বাবা হয় মফিজ মিয়া। দুবাইতে ভালো বেতনের চাকরি করে, মাসে মাসে বউয়ের একান্টে টাকা পাঠায় মফিজ মিয়া। যুবতি বয়সে স্বামি হারিয়ে অনেক দুঃখ-কষ্টে ছেলেকে বড় করেছে মফিজ মিয়ার মা। এতো দিনে মফিজের মা'র দিকে আল্লাহ মুখ-তুলে তাকিয়েছেন। বউ, নাতি নিয়ে মফিজের মা'র সুখের অন্ত নেই। মফিজ মিয়ার ছেলেকে স্কুলে দিয়েছে। মফিজ মিয়া গতবার দেশে এসে বিশাল মেজবানি করে ছেলের আঁকিকা দিয়ে গেছে। শেষবার যাওয়ার পর কেন জানি বউয়ের সাথে ফোনালাপ তেমন একটা করে না। ফোন করলেও আগের মতো বেশিক্ষণ কথা বলে না, মা, ছেলের খবরাকবর নিয়ে ব্যস্ততার কথা বলে লাইন কেটে দেয়। আগের মতো টাকা-পয়সা, চালানিও পাঠায় না। দুবছর ফেরিয়ে গেলো দেশে আসার খবরও নেই। দেশে আসার কথা তুললে নির্দিষ্ট করে কিছু বলে না, বলে- দেখি, শুধু এ-টুকুই। একবার মফিজ মিয়ার ছেলের খুব জ্বর হলো। দশ দিন গেলো, এতো ঔষধ-পত্রর কিছুতেই জ্বর ভালো হচ্ছে না। পাশের বাড়ীর এক ভাবির পরামর্শে ছেলেকে নিয়ে গেলেন কামেল বাবাজানের কাছে। বাবাজান ছেলেকে কোলে নিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়ে, মফিজের বৌয়ের দিকে কেমন করে যেন অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর ভবিষ্যত বাণী করেছিলো- তুই অচিরেই স্বামির সোহাগ থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছিস। তোর স্বামি দুবাইতে এক ফিলিপাইনি মহিলার ফাঁদে আটকা পড়তে যাচ্ছে। এ-বিপদ কাটানো জন্যে দরবারে প্রানি মানত্ করতে পরামর্শও দিয়েছিলো বাবাজান। মফিজ মিয়ার বৌ এসবে কান না দিয়ে, মফিজ মিয়ার উপর অটুট বিশ্বাস রেখেছিলো। দরবার থেকে ফেরার পর ছেলের জ্বর ভালো হয় বটে। কিন্তু গত পাঁচ মাস যাবদ মফিজ মিয়ার আর কোন খবর নেই। মোবাইলও বন্ধ। মফিজ মিয়ার বৌয়ের বুক কেঁপে উঠে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বাবাজানের করা বভিষ্যৎ বাণীর কথা স্বরণ করে। অগত্যা ছেলেকে শাশুড়ির কাছে রেখে বাবাজানের শরানাপন্ন হয় মফিজ মিয়ার বৌ।

বিমানে চড়ার পর মফিজ মিয়ার মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে, সাড়েপাঁচ বছর বয়সি রেখে যাওয়া ছেলের জন্যে। আট বছরে পা দেওয়া কলিজার টুকরো ছেলেটার জন্যে। প্রিয়তমা সুন্দরী স্ত্রীর জন্যে। জনম দুঃখি গর্বধারিনি মা'য়ের জন্যে। আবার নিজের উপর খুব রাগও হচ্ছে। নিজেকে নিজে যেন কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছে না। কেন যে সামান্য বিষয় নিয়ে পাকিস্তানি বর্বর গোয়ার পাঠানটির সাথে ঝাগড়া করতে গেলো মফিজ মিয়া। আজ দীর্ঘ ছয়টি মাস বৌ-বাচ্ছা, মা'র সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে জেল খেটে খালি হাতে দেশে ফিরতে হচ্ছে। আল্লাহ জানে আমার সোনা বাবুটি কেমন আছে। প্রিয়তমা বৌ না-জানি মোবাল বন্ধ পেয়ে এ-ছয় মাস কি ভেবে বসে আছে, কি ভাবে কাটিছে সময়। বৃদ্ধা মা ছেলের খবর না পেয়ে না-জানি কেমন আছে ! জেলে ছয় মাস তো বটে, পুরো ভ্রমনেও মফিজ মিয়া এ-রকম হাজারো দুঃচিন্তা ভেতর কাটিয়েছে। দুবাই এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটি শাহ আমানত বিমান বন্দরের মাটি ছুঁতেই ছয় মাস জেলের গ্লানি, ছয় ঘন্টা বিমান ভ্রমনের ক্লান্তি উদাও হয়ে যায় মফিজ মিয়ার। ঘন্টা-দুয়েকের মধ্যে প্রান প্রিয় ছেলে, প্রিয়তমা স্ত্রী এবং গর্বধারিনি মায়ের সাথে দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর মিলন হতে যাচ্ছে। এ-সুখে এখন পুলকিত মফিজ মিয়া। বিমান বন্দর থেকে বের হয়েই সি এন জি চালিত অটোতে চড়ে বসে মফিজ মিয়া। বাড়ীর সামনে পা ফেলতেই এলাকার ছেলে-বুড়ো সকলে আগমনে যেন হতবাক। উপস্থিত উৎসুক পাড়াতো ময়মুরুব্বিদের সাথে সালাম বিনিময়ের পর অটো অলার ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির উঠোনে পা রাখ মফিজ মিয়া। ঘরে ডুকতেই মফিজ মিয়ার মা মফিজ মিয়াকে জড়িয়ে ধরে সেকি কান্না! বাপ্ আমার, বুকের ধন, মানিক এতোদিন কোন খবরাখবর না দিয়ে কোথায় ছিলি? কেমন শুকিয়ে গেছিস, কোন বিপদে ঘঠেনি তো?
মা, মা, মা- শান্ত হও, বলছি আগে বসতে তো দাও! মা'য়ের কান্না থামলে মফিজ মিয়া ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে, মাকে বিদেশে ঘটে যাওয়া ঘঠনার সবকিছু খুলে বলে। এতোক্ষণে বৌকে না দেখে মফিজ মিয়া কিছুটা অবাক হয়ে মাকে জিজ্ঞেস করে-
মা, তোমার বৌ'মা কোথায়, দেখছি না যে?
মফিজ মিয়ার মা ছেলেকে বাবাজানের দরবারের কথা খুলে বলে। মায়ের কাছে বিস্তারিত শুনে মফিজ মিয়া পাগলের মতো ছুটে যায় কথিত সেই কামেল পীরবাবার দরবারের উদ্যশ্যে। বাকলিয়া থেকে সাতাশ-আটাশ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্বে বাবাজানের বাড়ী খুঁজতে হয়নি। অটোঅলা একেবারে দরবারের সামনে এসেই অটো থামায়। মফিজ মিয়া অটো থেকে নামতেই চোখ আটকে যায় দরবারের গেইটের উপর- (জাকের ভান্ডার দরবার শরীফ) লিখা বিশাল সাইন বোর্ডে। নির্বাক মফিজ মিয়ার স্মৃতিপটে ভেসে উঠে- মফিজ মিয়া ক্যান্টনমেন্টে চাল-ডালের সাপ্লাই ব্যবসা শুরু করেছে সবেমাত্র একমাস। এরই মধ্যে হিসাব-নিকাশ এবং ক্যান্টিনে ঠিকটাক মতো মাল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যে একজন স্মার্ট ম্যানেজার দরকার। পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে নীল চোখের সুদর্শন যুবক জাকের মিয়াকে ম্যানেজার হিসাবে মনে ধরে যায় মফিজ মিয়ার। ম্যানেজার নিয়োগ পাওয়ার দুই মাসের মাথায় জাকের মিয়াদের বাড়ীতে কি এক পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিলো। জাকের মিয়ার অনুনয়-বিনয়ে টিকতে না পেরে ব্যবসায়িক ব্যস্ততা সত্বেও দাওয়াত কবুল করে মফিজ মিয়া। সে উপলক্ষে ম্যানেজার জাকের মিয়ার বাড়ীতে এসে একবেলা ভালো-মন্দ খেয়েছেও মফিজ মিয়া। এই ক'বছরে রাস্তাঘাট, বাড়ী-ঘর অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও মফিজ মিয়ার স্মৃতি শক্তি এতোটুকুও দুর্বল হয়নি। দরবারের গেইটে ঝুলানো সাইন বোর্ডে কথিত পীর বাবার নুরানি চেহারার ছবিতে মফিজ মিয়ার চোখ আটকে যায়। মফিজ মিয়ার স্মৃতির জানালা আগলা হয়ে চোখের উপর ভেসে উঠে কয়েক বছর পূর্বে চুরির দায়ে বিদ্যুতের খুটির সাথে বাঁধা বেদম মার খাওয়া অনুশোচনাবিহীন সেই বদন। পূনরায় প্রতারিত মফিজ মিয়ার পরাজয় যেনো শাইন বোর্ড থেকে উপভোগ করছে বাবাজানের নুরানি বদন। লোভাতুর নীল চোখের তীর্যক দৃষ্টিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় মফিজ মিয়া কোথায় জানি বিলীন হয়ে যায়।
দরবারের ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসা খাদেম টাইপের কেউ একজন মফিজ মিয়াকে লক্ষ্য করে-
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বরকাতুহু - জনাব কি দরবারে এসেছেন, তা দাড়িয়ে কেনো? ভিতরে আসুন।
খাদেমের প্রশ্নমিশ্রিত আহ্বানে স্মৃতির অতল গহ্বরের তলদেশে হারিয়ে যাওয়া মফিজ মিয়ার সম্বিৎ ফিরে আসলে বুকের বাম পাশে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে। পুরো দুনিয়া যেন মাথার উপর চক্কর দিয়ে ঘুরছে। খাদেমের প্রশ্ন ও আহ্বানে কোন রকম সাড়া না দিয়ে পূনরায় সে-অটোতেই চেপে বসে।
ড্রাইভার সাহেব, গাড়ী স্ট্রাট দেন।
ভাই সাহেব, দরবারের ভিতর যাবেন না?
নাহ্, চলো ফিরতে হবে, চলো...
বাবাজানের সাথে দেখা করবেন না?
হুম, দেখা হয়ে গেছে।
বলেন কি, ভাই সাহেব! আপনি তো ভিতরে ডুকলেন না, দেখা হলো কি করে?
ড্রাইভার সাহেব আর কোন প্রশ্ন নয়, গাড়ী স্ট্রাট দেন।